অতিরিক্ত করের বোঝা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না ও জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত লালমনিরহাট বিসিক শিল্পনগরী। বিভিন্ন খাতে কর দিয়েও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা।
তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের পাশে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টীবাড়ী ইউনিয়নের ১৫.৬০ একর জমির ওপর ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরী লালমনিরহাট।
প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরেও বিসিক এলাকায় স্থাপন করা হয়নি সড়কবাতি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় শিল্পনগরীতে প্রবেশের প্রধান প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীণ সব সড়কে সারা বছর পানি জমে থাকে। আর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে সড়ক চলে যায় হাঁটু পানির নিচে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় প্রতিটি অভ্যন্তরীণ সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
জানা যায়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরীর মোট ১শত ৭টি প্লট তৈরির মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে বিসিকের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়। ৩৫টি শিল্প ইউনিট গড়ে তোলার জন্য সব প্লট বরাদ্দ নেন আগ্রহীরা। কিন্তু বর্তমানে ১টি প্লাস্টিক কারখানা, ২টি তারকাটা ফ্যাক্টরি, ১টি ময়দা মিল, ১টি হিমাগারসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অব্যাহত লোকসান, বিদ্যুৎ সংঙ্কটসহ নানামুখী সমস্যায় বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক মোঃ এহছানুল হক বলেন, দুই বছর আগে প্রতি শতাংশ জমির ইজারা নিতে-দিতে হতো মাত্র ৫ হাজার টাকা। আর বর্তমানে সেখানে ৬২ হাজার টাকা দিতে হয়। তাই আগ্রহীরা বিসিক শিল্পনগরীতে তাদের শিল্প কল কালখানা স্থাপন করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, বিসিক নগরীতে শিল্পকারখানা স্থাপন হলে একদিকে যেমন জেলার বেকার সমস্যার সমাধান হবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয় হবে। তাছাড়া এই জেলা শিল্প কলকারখার স্থাপনের একটি উত্তম জায়গা। তিস্তা সড়ক সেতু হওয়ার ফলে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো। তাই অল্প সময়ের মধ্যে বিসিক শিল্পনগরীতে ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রহণকৃত প্লটে কারখানা স্থাপন করবেন।